১৯৭১ সালের পূর্বে মধুমতি নদীর দুইটি বাগ যাহা ঘুরিয়া প্রায় ১.৫ কিলোমিটার দূরত্বে ছিল। ১৯৭১ সালে অতি বন্যায় একটি বাগের মুখে পলি জমে চর পড়ে ঐ বাগের উজানের মুখটি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে তৈরি হয় বদ্ধ জলাশয়। ঐ জলাশয়টি মধুমতি বাওড় নামে পরিচিত। গোপালগঞ্জ জেলাধীন কাশিয়ানী উপজেলায় ধানকুড়া, রাতইল, চাপ্তা, ঘোনাপাড়া, পরানপুর, সুচাইল, তারাইল, পাংখারচর এবং চরভাটপাড়া মৌজায় মধুমতি বাওড়ের অবস্থান। এখনও বর্ষামৌসুমে এই বাওড় নদীরূপ ধারণ করে। শুষ্ক মৌসুমের ৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এবং ৬০০ ফুট প্রস্থের বাওড়টি বর্ষাকালে প্রায় ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ১২০০ ফুট প্রস্থের বাওড়ে নবরূপ লাভ করে। বাওড়টির আয়তন প্রায়
১৬২ হেক্টর। বর্তমানে ভরাট হয়ে মধুমতি বাওড় তার ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। ইহাকে পুণঃখননের মাধ্যমে তার অতীত যৌবনাভাব ফিরিয়ে আনা যায়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস