ভাটিয়াপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়টি গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলাধীন জঙ্গলমোকন্দপুর গ্রামে ঢাকা খুলনা মহাসড়কের পাশে একটি নিরিবিলি সুন্দর পরিবেশে অবস্থিত। এর উত্তরে ভাটিয়াপাড়া বাজার ও বাংলাদেশ রেলওয়ে স্টেশন এবং পশ্চিমে মধুমতি নদী প্রবাহিত।
১৯৬০ দশকের আগে অত্র এলাকায় কোন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ছিল না। দক্ষিনে ছিল ইতনা মাধ্যমিক বিদ্যালয় (৭ মাইল দূরে) পশ্চিমে লোহাগড়া হাইস্কুল (৬ মাইল দূরে) এবং উত্তরে কাশিয়ানী জি.সি. পাইলট উচ্চবিদ্যালয় (৪ মাইল দূরে) ফলে উল্লেখিত স্কুলগুলির দূরত্বের কারনে এলাকার অধীকাংশ স্কুলগামী ছাত্রছাত্রী মাধ্যমিক শিক্ষা গ্রহণে বঞ্চিত ছিল। তখন ভাটিয়াপাড়ায় একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা ছিল অতীব জরুরী। তখন এটা বিবেচনা করে স্থানীয় বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তিরা এই স্কুলটি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহন করে এবং তা এলাকায় ব্যাপক সাড়া যোগায়। ১৯৬১ সালে স্কুলটি এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে এবং ১৯৬৪ সালে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের স্বীকৃতি লাভ করে। জনাব মৌঃ আব্দুর রাজ্জাক ১ম সভাপতি এবং জনাব খিজির আহমেদ মোল্লা প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব গ্রহন করেন। ১৯৬৫ সালে ১ম ব্যাচ এস,এস,সি পরীক্ষা দিয়ে ১০০% পাস করে। এর পর স্কুলটি চলতে শুরু করে বর্তমান স্থানে উপনীত হয়েছে। বর্তমানে অত্রবিদ্যালয়টির ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৭০০ ও শিক্ষক সংখ্যা ১৬ জন।
শ্রেণী | বালক | বালিকা | মোট |
২ | ৩ | ৪ | ৫ |
ষষ্ঠ | ৮২ | ৯০ | ১৭২ |
সপ্তম | ৯৪ | ৭৫ | ১৬৯ |
অষ্টম | ৭৩ | ৮০ | ১৫৩ |
নবম | ৪১ | ৬৩ | ১০৪ |
দশম | ৫৯ | ৪৩ | ১০২ |
১। জনাব আকতার হোসেন- সভাপতি ।
২। জনাব আলহাজ্ব আঃ মান্নান মোল্যা- দাতা সদস্য ।
৩। জনাব মুন্তিয়ার রহমান মোল্যা- অভিভাবক সদস্য।
৪। জনাব এমদাদুল হক শরীফ- ,,
৫। জনাব মাসুদ শেখ- ,,
৬। জনাব শেখ মনিরুল ইসলাম- শিক্ষক প্রতিনিধি
৭। জনাব সমশের আলী খান- ,,
৮। জনাবা নাহিদা সুলতানা- ,,
৯। জনাবা ফাতিমা বেগম- মহিলা অভিভাবক সদস্য
১০। জনাব এনামুল হক বাচ্চু- শিক্ষানুরাগী সদস্য ।
১১। জনাব জাহাঙ্গীর শেখ- অভিভাবক সদস্য ।
১২। প্রধান শিক্ষক সদস্য সচিব
পরীক্ষার নাম | সাল | পাশের হার (%) |
২ | ৩ | ৪ |
এস.এস.সি | ২০০৭ | ৪৫.৪৫ |
২০০৮ | ৮৫.২৯ | |
২০০৯ | ৬৯.৮১ | |
২০১০ | ৮৬.২৭ | |
২০১১ | ৮৮.৭৩ |
প্রাইমারী বৃত্তি-১২ জন, জুনিয়র বৃত্তি-০২জন।
বিল্যালয় সৃষ্টির পর এর অর্জন চোখে পড়ার মত। বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি পাশ করা অনেক ছেলে মেয়ে দেশ ও বিদেশে অনেক দায়িত্বপূর্ণ কাজে কর্মরত। এ বিদ্যালয়ের ছাত্র দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ও বুয়েট এর শিক্ষক হয়েছেন। অনেক ছাত্র সেনাবাহীনির অফিসার ও সিভিল সার্ভিসের পদস্থ কর্মকর্তা হয়ে তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মরত। সহ পাঠ কার্যক্রমের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন সময়ে উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে খেলাধুলায় স্কুলটি সুনাম অর্জণ করেছে। এ বছর একটি ছেলে জাতীয় পর্যায় সাতার প্রতিযোগীতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে।
বিদ্যালয়টির বর্তমান পরিকল্পনা হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়মিত রুটিন মাফিক পরিকল্পনার মাধ্যমে শ্রেণী কক্ষে মনোযোগী করতঃ তাদের জে.এস.সি ও এস.এস.সি ফলাফলের উন্নয়ণ সাধন করা। গরীব ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা । দুর্বল ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিশেষ ক্লাশের ব্যবস্থা করতঃ তাদের ফলাফল উন্নয়নের জোর প্রচেষ্টা করা। ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবক সুধী সমাজ ও শিক্ষকদের সমন্বয়ের মাঝে মধ্যে শিক্ষার মান উন্নয়ন ও শিক্ষার পরিবেশ উন্নয়নে মত বিনিময় সভা করা ইত্যাদি।
মংলা-ঢাকা মহাসড়কের কাশিয়ানী উপজেলা পরিষদ থেকে গোপালগঞ্জমুখী ভাটিয়াপাড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে হাতের ডানদিকে মাইল দুয়েক সামনে এগুলেই মধুমতি নদীর তীরবর্তী প্রাকৃতিক দৃশ্যের এক মহাসমারোহের প্রাচীরের মধ্যে চোখে পড়বে এই বিদ্যালয়টি । এছাড়া যোগাযোগের ক্ষেত্রে | ||||||
|
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস