মাদ্রাসাটি দাখিল হিসাবে 1954 আলিম, 1959 সালে ফাজিল, 1962 সালে এবং কামিল হিসাবে স্বীকৃতি পায় 1992 সালে।
বৃহত্তর ফরিদপুর বরতমানে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলাধীন মাহমুদপুরে ইউনিয়নের গোয়ালগ্রাম নিবাসী মরহুম আলহাজ্ব মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার সুফি সাহেব 1948 সালে 2 রা জানুয়ারী তারিখে গোয়ালগ্রাম ইসলামিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল খোলার অনুমতি ও স্বীকৃতি পেয়ে গোয়ালগ্রামে আলিয়া (কামিল) মাদ্রাসা নামে পরিচিত লাভ করে। এই মাদ্রাসাটি বৃহৎ ফরিদপুরের অতি প্রাচিন ও বৃহত্তম উচ্চতর ধর্মীয় শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে সুপরিচিত। তবে এ প্রতিষ্ঠানের গোড়ার ইতিহাস কিছুটা আলোচনা করা প্রয়োজন।
মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আলহাজ্ব মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার সুফি সাহেব, তিনি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যারয়ের অধীনে ওড়াকান্দি মীড হাই স্কুল হইতে এস.এস.সি খুলনা বিএল কলেজ হতে এইচএসসি এবং কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হতে বিএ (ডিগ্রী) পাস করেন। অতঃপর কলিকাতা সাব রেজিস্টারী অফিসে উচ্চ কর্মচারী কাজে যোগদান করেন। তদানিন্তন মন্ত্রী প্রখ্যাত আইনজীবি মুহম্মদ আব্দুস সালাম খান সাহেবের ভগ্নীকে তিনি বিবাহ করেন। চাকুরীরত অবস্থায় তিনি দুই পুত্র ও দুই কণ্যার পিতা হন। বড় কন্যা এম.এ পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপিকা পদে কাজ করেন। পরে কন্যা ও জামাতা লন্ডনে ডক্টরেট করে সেখানে চাকুরীতে নিয়োজিত হন।
প্রতিষ্ঠাতা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার চাকুরীরত অবস্থায় তার মনের ভেতর পরিবর্তন হয়ে খোদার প্রেমে মাজ্জুরী হালাতে দিশেহারা হন। এমতাবস্থায় বরিশাল ছারছিনা কামিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পীর মরহুম আল্লামা নেসারুদ্দিন সাহেবের নিকট মুরীদ হন। পীর সাহেবের নিকট একটা মসজিদ তৈরীর জন্য অনুমতি প্রার্থনা করেন। পীর সাহেব প্রতি উত্তরে বলেন- মসজিদ তৈরি না করে আগে মুসল্লী তৈরী করুন। তখন মুসল্লী তৈরী করার খেয়ালে তিনি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার জন্য খেয়াল নেন। পীর সাহেব হুজুরের অনুমতি নিয়ে প্রথমে তিনি গোয়ালগ্রাম নিজ বাড়ীতে দো-চালা গোলপাতার একখানা ঘর নির্মাণ করেন এবং মাদ্রাসার ক্লাস শুরু করেন। এতে নিজের ভাই ও আত্মীয় স্বজনেরা তীব্রভাবে বাঁধা দেয়। অনেক বাধা বিপত্তি সত্বেও তিনি অদম্য উৎসাহ নিয়ে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করার প্রবল ইচ্ছা পোষণ করে নিজের অর্থ সম্পত্তি অধিকাংশই মাদ্রাসার নামে উৎসর্গ করেন।
মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাকালে কোন প্রকার অভাব অনটন দেখা দিলে এমনকি লিল্লাহ বোর্ডিং- ছাত্রদের খাদ্যাভাব দেখা দিলে তিনি দুহাত তুলে আল্লাহর নিকট মুনাজাত করতেন। ফলে আল্লাহই মানুষের মাধ্যমে মুনাজাত কবুল করে কোন তারিকায় কোনভাবে অর্থ খাদ্য যোগাড় হয়ে আসতো তা একমাত্র তিনিই জানেন। বিশেষ করে সুফি সাহেব যেখানেই হাত পেতেছেন সেখানেই স্বহৃদয়বান ব্যাক্তিরা সদয় হয়ে তাঁর দুহাত অর্থে ভরে দিয়েছেন। তাকে দেখলে মানুষ দিশেহারা হয়ে যায় কি মনে কি হৃদয়বান ব্যক্তি। এক মহৎ ব্যক্তির ধর্মীয় চেতনার জন্যই এতদাঞ্চলের মানুষ তাকে সুফি উপাধিতে ভূষিত করেন এবং ঐ সময় তিনি হজ্ব করেন।
আলহাজ্ব মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার সুফি সাহেবের প্রতিষ্ঠিত এই সুন্দর মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠার সেই আনন্দঘন মুহূর্তে যেসব সহকর্মীরা তার সাথে হাত মিলিয়েছিলেন সহযোহিতার মাধ্যমে শ্রম দিয়েছিলেন তাদের মধ্যে অনেকে আছেন, অনেকে পরলোকে চলে গেছেন বা মাদ্রাসার পাশে এখনো কালের সাক্ষী হয়ে আছেন। তারা হলেন- আলহাজ্ব মোমজেদ মিয়া, মোঃ ইসমাইল মিয়া, মোঃ খোরশেদ সরদার, মোঃ সাহেব আলী, মোঃ ইউসুফ মুন্সী, মোঃ আব্দুল হক, মোঃ মোকসেদ মোল্যা, মোঃ সামেদ মিয়া, মোঃ গোলম সরোয়ার সহ আরো অনেকে এরা আলহাজ্ব সুফি সাহেবের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে, হাতে হাত মিলিয়ে, শ্রম দিয়ে, অর্থ দিয়ে সাহায্য সহযোগিতা করে এই সুন্দর .................. গড়ে তুলে ..............।
এ মাদ্রাসা এতদাঞ্চলের ধর্ম প্রাণ মুসলমানদের বিশেষ এক আকর্ষনীয় ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সুদুর পল্লী গ্রামের নীচু অঞ্চলে গোয়ালগ্রাম মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হলেও এর অবস্থান পারিপার্শ্বিক সবুজ শ্যামল, বনবনানী, পল্লবঘন ছায় সুনিবিড় শান্তির নীগ পরিবেশে মাদ্রাসার পাকা প্রধান ভবন ইউ প্যার্টানের দ্বিতল ভবন সহ অন্যান্য ভবনসমূহ সমাহিত সমুজ্জল। এছাড়া সূদীর্ঘ বৃহত্তর পাকা মসজিদ, ছাত্রাবাস ও লিল্লাহ বোর্ডিং, হেবজ খানা, এতিম খানা, রান্নাঘর ও ঘাটলা বাধা দীর্ঘ পুকুর সহ খেলার মাঠ, সবুজ বনবনানী সংলগ্ন আবাসিক অবস্থান, সব মিলিয়ে এক মনোরম সুষ্ঠ নিরিবিলি শিক্ষার পরিবেশ এক নজরে সবাইকে আকৃষ্ট করে। সব দিক দিয়ে এতদাঞ্চলের এটা একটা ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষা লাভের বড় পীঠস্থান।
অজপাড়াগায়ে অজ্ঞ মানুষের ধর্মে কর্মে মুক্তির তথা, শিক্ষার আলো জ্বালাতে এ মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আজ অর্ধ শতাব্দীর ও উর্ধ্বে এ প্রতিষ্ঠন অতীত হতে চলেছে। কত তত্ত্বাবধায়ক, কত অধ্যক্ষ, কত মুহাদ্দিস, কত অধ্যাপক, প্রভাষক, মাওলানা, শিক্ষক কর্মচারী এ মাদ্রাসায় সেবা করেছেন এবং এখনো করছেন। এই বিশাল এলাকার অসংখ্য কৃষক, শ্রমিক, মজুর কুলি, তাতি, মধ্য বৃত্ত ঘরের সন্তানেরা এখানে পড়াশুনা করে, জ্ঞান লাভ করে বেড়িয়ে গেছে বাইরের জগতে। এরাই আজ মানব সভ্যতার পথ প্রদর্শক প্রতিনিধি। জীবনের প্রতিক্ষেত্রে এরা কর্মবীর।
পিছনের দিকে তাকালে দেখা যায় অতীতে যার জন্ম, এই সেই মাদ্রাসা যার গতি মাঝে মাঝে হারিয়ে যেত, ভেঙ্গে পড়েছিল আর্থিক অসচ্ছলতার, দারুনভাবে ব্যহত হয়েছে শিক্ষার গতিপথ। শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন বাকী, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ পারেনি বেতন দিতে, কিন্তু আলহাজ্ব আব্দুস সাত্তার সুফি সাহেব হুজুর কঠোর পরিশ্রম করে বৃদ্ধ বয়সে সাইকেলের রডে বসে দুর দুরান্ত থেকে খাদ্য, অর্থ সংগ্রহ করে মাদ্রাসা চালিয়েছেন মাদ্রাসার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেছেন।
এই সময় মহৎ প্রাণ বিজ্ঞজনেরা মাদ্রাসার দায়িত্ব ভার নিয়ে অধ্যক্ষের পদে নিয়োজিত ছিলেন, তাদের মধ্যে কালের ইতিহাসে যারা স্মরণীয় হয়ে রয়েছেন, তাদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে। এ সব অধ্যক্ষদের মধ্যে রয়েছেন- মাওঃ নেয়ামতুল্লাহ, মাওঃ আব্দুস সালাম, মাঃ মোকবুল হোসেন, মাওঃ আব্দুল খালেক মন্ডল, মাওঃ আব্দুল হামিদ সাহেব, মাওঃ আব্দুল সালাম সাহেব, মাওঃ আবুল খায়ের সাহেব, মাওঃ মোহাম্মাদ আলী সরকারি, মাওঃ আব্দুল কাদের সাহেব, মাওঃ আনোয়ার হোসেন সাহেব এবং বর্তমানে অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম মিয়া একাধারে অধ্যক্ষ ও সম্পাদকের দায়িত্বেও কর্তব্য কাজে রত আছেন। বিভিন্ন বিভাগে বিভিন্ন মুহাদ্দিস, অধ্যাপক, প্রভাষক ও শিক্ষকগণ তাদের কর্মক্ষেত্রে, কর্ম প্রচেষ্টার দ্বারা তাদের ইতিহাস রেখে গেছেন ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে।
আর প্রতিষ্ঠাতা তার যথাসর্বস্ব মাদ্রাসায় দান করে এতদাঞ্চলের মুসলমানদের ধর্মীয় শিক্ষার পথ খুলে মানুষের উপকার করে এবং দেশের মানুষকে কুপথ থেকে অন্যায় আর অত্যাচারের পথ থেকে ফিরিয়ে আনলেন। আল্লাহর পথে কোরআন হাদিসের পথে। তার বহু সাধনার ধন এই গোয়ালগাম আলিয়া কামিল মাদ্রাসা এ মাদ্রাসা একটু একটু করে বৃহত্তর মাদ্রাসায় পরিনত হল। বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এ মাদ্রাসাকে দাখিল হিসাবে স্বীকৃতি দেয় 1954 সালের ১লা জানুয়ারীতে। আলিম হিসাবে অনুমতি দেয় 1959 সালের ১লা জুন তারিখে। ফাজিল শ্রেণী খোলার অনুমতি পায় 1962 সালের ১লা জুলাই তারিখে। স্মারক নং- 11782/জি-20, তাং- 23/12/1962, অতঃপর কামিল শ্রেণীতে হাদিস বিষয় খোলার অনুমতি প্রদান করেন 1986 সালের ১লা জুলাই থেকে। স্মারক নং- 228/7, তাং- 01/01/1987 এবং কামিল হিসাবে স্বীকৃতি পায় 1992 সালের ১লা জুলাই। স্মারক নং- 2448/5, তাং- 16/10/1992, প্রতিষ্ঠানটিকে স্বীকৃতি দেওয়া হয় 01/07/1999ইং হইতে 30/06/2004 পর্যন্ত, স্মারক নং- 139/6, তাং- 03/09/2000ইং।
এ মাদ্রাসাটি দাখিল বিজ্ঞান খোলার অনুমতি পায় 01/01/1984ইং হইতে যার স্মারক নং- রিক/4467/5, তাং- 23/11/1984ইং, পঠিত কোর্স হিসাবে দাখিল শ্রেণীতে দাখিল সাধারণ গ্রুপ দাখিল বিজ্ঞান গ্রুপ, আলিম সাধারণ গ্রুপ, ফাজিল সাধারণ গ্রুপ, কামিল হাসিদ গ্রুপ। অত্র মাদ্রাসায় পঠিত বিষয় হল- বাংলা, ইংরেজি, গণিত, কোরআন, তাফসির, আরবি 1ম ও 2য় পত্র, ফিকহ, ভূগোল, ইতিহাস, সামাজিক বিজ্ঞান, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন বিজ্ঞান, কৃষি শিক্ষা, ইসলামের আতিহাস, বালাগাত, মানতেক, পৌরনীতি, অর্থনীতি তাফসির ও উসুলে তাফসির। মাদ্রাসার জমির পরিমান- 11 একর .70 শতাংশ আবাদী জমি। প্রতিষ্ঠনটিতে 38টি পাকা কক্ষ রয়েছে এবং 5টি কাঁচা কক্ষ আছে। যার পরিমাণ পাকা 5,808 বর্গ মিটার ও কাঁচা 9,032 বর্গ মিটার। মাদ্রাসা সংলগ্ন একটি এবতেদায়ী সাদ্রাসা, একটি পোষ্ট অফিস ও একটি বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক শাখা রয়েছে। মাদ্রাসার বোর্ড পরীক্ষায় ফল খুবই ভাল এবং সন্তোষজনক। কামিল হাদিস গ্রুপে প্রতি বছরই 1ম শ্রেণীতে বহু সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী উত্তীর্ণ হয়ে মেধা তালিকায় স্বাক্ষর রেখেছে। কামিল বোর্ডে আমাদের এক ছাত্রী মেধা তালিকায় অষ্টম স্থান অধিকার করেছে। ফাজিল আলিম ও দাখিলে ছাত্র-ছাত্রীরা 1ম 2য় ও জিপিএতে এ+, এ, এ-, বি, সি, ডি গ্রেডে উত্তীর্ণ হয়ে সুনাম অর্জন করেছে। বিভিন্ন শ্রেণীতে শতাংশ এবং প্রায় শতাংশ ছাত্র-ছাত্রীরা পাস করে বেড়িয়েছে।
প্রতি বছরই এই মাদ্রাসার ৫ম শ্রেণী ও ৮ম শ্রেণীতে টেলেন্টপুলে বৃত্তি পেয়ে মাদ্রাসার মান অক্ষুন্ন রেখেছে। মাদ্রাসার কো-কারিকুলাম হিসাবে বা সহ পাঠ্যক্রম হিসাবে সাপ্তাহিক জলসা বিতর্ক অনুষ্ঠান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মিলাদ মাহফিল, বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল, খেলাধুলা, স্কাউট, সবজী চাষাবাদ, বৃক্ষ রোপন, বিশেষ করে প্রতি বছরই বিভিন্ন স্থানে ছাত্র শিক্ষক মিলে শিক্ষা ভ্রমণে যান মাদ্রাসার বার্ষিক অনুষ্ঠানমালা যথারীতি সম্পাদিত হয়। তাছাড়া প্রত্যহ সুনির্দিষ্ট সময়ে শ্রেণী কার্যক্রম আরম্ভ হওয়ার পূর্বে জাতীয় সমাবেশের মাধ্যমে অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে নিয়মিত দৈনন্দিন পঠন পাঠন ও সার্বিক কার্যাবলী পরিচালিত হয়।
প্রতি বছর দেশের জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শ্রেষ্ঠ শ্রেণী শিক্ষক এর পুরস্কার পান। এ মাদ্রাসার অবকাঠামো পরিচালিত করলে দেখা যায় এবং বাংলাদেশ সরকারের সাবেক খাদ্য মন্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জনাব মোহব্বত জান চৌধুরীর একান্ত প্রচেষ্টায় সাবেক রাষ্ট্রপতি আলহাজ্ব হিুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ এর শাসনামলে 1986 সালে এই মাদ্রাসা কামিল মাদ্রাসায় পরিনত হয়। অতঃপর অভিজ্ঞ শিক্ষক মন্ডলী দ্বারা মাদ্রাসার শিক্ষা সাংস্কৃতি, লেখা পড়া ধাপে ধাপে উন্নতির চরম শিখরে আরহন করে। বিদগ্ধ শিক্ষক মন্ডলী দ্বারা শিক্ষা দানে বোর্ড পরীক্ষার ফল সন্তোষজনক হয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেয়। বর্তমানে গোয়ালগ্রাম কামিল (এম,এ) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল কাইয়ুম মিয়া সুনামের সহিত মাদ্রাসার শিক্ষাসহ সার্বিক পরিচালনা করছেন। সেই সাথে বর্তমানে কর্মরত বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শ্রী অতুল কৃষ্ণ দাস দীর্ঘ 26 বৎসর এই মাদ্রাসায় সুনামের সহিত শিক্ষাদান কাজে নিয়োজিত আছেন। প্রায়তঃ সুফি সাহেবের আদেশ, উপদেশ ও নির্দেশ মোতাবেক মাদ্রসার উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের মধ্যে তার লেখনী দ্বারা মাদ্রাসা কামিল খোলার অনুমতি বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক মাদ্রাসা শাখা, কাশিয়ানী মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্র, মাদ্রাসা সংলগ্ন ব্রীজ ও পুকুর পুরঃ খনন প্রভৃতি কাজে লেখনীর মাধ্যমে সহায়তা করেন। তিনি লেখক, সাহিত্যিক, উপজেলা ও জেলায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের পুরস্কার সহ সনদপ্রাপ্ত হন। বাংলাদেশ মাদ্রাসা বোর্ডের দাখিল বাংলা বিষয়ের প্রধান পরীক্ষক, দাখিল বৃত্তি, আলিম ও ফাজিল বাংলা পরীক্ষক সংক্রান্ত কাজে নিয়োজিত আছেন। মরহুম আলহাজ্ব আঃ ছাত্তার সুফি সাহেব 1986 সালে সাবেক রাষ্ট্রপতি আলহাজ্ব হুসাইন মোঃ এরশাদ সাহেবের শাসন আমলে অত্র মাদ্রাসাটি কামিল মাদ্রাসায় স্বীকৃতি পান। তাং- 24/10/2004 তারিখের স্মারক নং- 1051/7 তাং- 01/07/2004 হইতে 30/07/2009 পর্যন্ত। 1987 সাল হতে গত 2012 সাল পর্যন্ত গোয়ালগ্রাম কামিল মাদ্রাসা হতে স্থানীয় ও দুরাগত ছাত্র ছাত্রীরা ইসলাম ধর্মীয় সর্বোচ্চ শিক্ষা কামিল টাইটেল (উপাধি) গ্রহন করেন।
বিগত 20 বছরে ছাত্র-ছাত্রীরা কামিল বা এম,এ সমমানের ডিগ্রী অর্জন করে তারা বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে ও দেশ সেবায় নিয়োজিত আছেন। তন্মধ্যে তাদের বিশেষ কয়েক জনের নাম উল্লেখ করা হলোঃ 1। হযরত মাওলানা ড. সৈয়দ শরাফত আলী সাহেব, ছারছিনা আলিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ। 2। মোঃ জাহিদুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক, সহকারী রাজেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, ফরিদপুর, 3। মোঃ ইসরাইল হোসেন, সহকারী অধ্যাপক, সরকারি মাদ্রাসা আলিয়া, ঢাকা। 4। আব্দুর কাদের মোল্যা, সহকারী অধ্যাপক, নজরুল ইসলাম কলেজ, ঢাকা। 5। মোঃ হারুন অর রশিদ, বিসিক অফিসার, ফরিদপুর, 6। মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, সহকারী অধ্যক্ষ, সরকারি ইয়াসিন কলেজ, 7। মোঃ মফিজুর রহমান মৃধা, অধ্যক্ষ, বি,সি আই,সি কলেজ, জামালপুর, 8। আব্দুল হান্নান মিয়া, অধ্যক্ষ, যশোর সরকারি কলেজ, 9। মোঃ আবুল বশার মোল্যা, অধ্যক্ষ, সাভার পুলিশ আইজি স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা, 10। ডাঃ সামসুদ্দোহা, সহকারী অধ্যাপক, এম,এ খালেক ডিগ্রী কলেজ, কাশিয়ানী, 11। মোঃ মজিবর রহমান, অধ্যক্ষ, পিংগলিয়া সিদ্দিকিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, কাশিয়ানী, 12। মোঃ আমিনুর রহমান, বিমান ও পর্যটন মন্ত্রীর পিএস।
মরহুম আলহাজ্ব মোঃ আঃ ছাত্তার সুফি সাহেবের তিরধানের পর মাদ্রাসার হাল ধরেন অত্র গোয়ালগ্রামের স্বনামধন্য শিল্পপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মনির হোসেন সাহেব (ভুলু মিয়া)। তিনি মরহুম সুফি সাহেবের স্থলাভিষিক্ত হয়ে মাদ্রাসার দায়িত্ব ভার গ্রহণ করে বর্তমানে গভর্নিং বডির সুযোগ্য সদস্যগণসহ সুফি সাহেবের পুত্র মোঃ এএন করিম কে নিয়ে মাদ্রাসার বিভিন্ন মূখী উন্নয়ন মূলক কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমানে মাদ্রাসার গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান তার দৌহিত্র পুত্র মাওলানা এএসএম আজিজুর রহমান (আবু সালেহ)। 2008 সাল হতে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিধ্যালয় হতে বিধি মোতাবেক অত্র মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সদস্যদের নিয়ে উন্নয়ন কাজে নিয়োজিত আছেন। তাই এই কাজের সাথে অমর স্মৃতি হয়ে জড়িয়ে থাকবে অত্র মাদ্রাসার প্রতিষ্টাতা প্রায়াতঃ আলহাজ্ব মোঃ আঃ ছাত্তার সুফি সাহেব হুজুরের নাম অনন্ত কাল ধরে। পরিশেষে সুফি সাহেবের আত্তার মাগফেরাত এবং মাদ্রাসার উত্তরোত্তার ক্রমোন্নতি কামনা করে সেই সাথে মহান আল্লাহকে সম্মতি জানিয়ে এখানেই গোয়ালগ্রাম আলিয়া কামিল (মাস্টার ডিগ্রী) মাদ্রাসার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস টানছি।
শ্রেণী | ছাত্র | ছাত্রী | মোট |
1ম | 15 | 12 | 27 |
2য় | 06 | 01 | 07 |
3য় | 14 | 03 | 17 |
4থ | 22 | 09 | 31 |
5ম | 15 | 13 | 28 |
6ষ্ঠ | 31 | 19 | 50 |
7ম | 23 | 14 | 37 |
8ম | 29 | 16 | 45 |
9ম | 23 | 21 | 44 |
10ম | 19 | 08 | 27 |
আলিম | 42 | 28 | 70 |
ফাজিল | 70 | 42 | 112 |
কামিল | 120 | 47 | 167 |
mvj | †kªYx | ‡gvU QvÎ-QvÎx | ‡gvU cixÿv_©x | cv‡ki msL¨v | cv‡ki nvi | gšÍe¨ |
|
2007 | `vwLj | 25 | 25 | 18 | 72% |
|
|
Avwjg | 16 | 16 | 13 | 81.25% |
|
| |
dvwRj | 19 | 19 | 19 | 100% |
|
| |
Kvwgj | 14 | 14 | 12 | 85% |
|
| |
2008 | `vwLj | 36 | 36 | 30 | 83.33% |
|
|
Avwjg | 16 | 16 | 11 | 68.75% |
|
| |
dvwRj | 03 | 03 | 03 | 100% | AwbqwgZ, gv`ªvmv †ev‡W©i Awa‡b †kl eQi |
| |
Kvwgj | 02 | 02 | 02 | 100% |
| ||
2009 | `vwLj | 41 | 41 | 35 | 85.36% |
|
|
Avwjg | 14 | 14 | 14 | 100% |
|
| |
2009/10 | dvwRj | 1g el©-50 |
|
|
| cixÿv nqwb |
|
2010/11 | dvwRj | 1g el©-27 |
|
|
| cixÿv nqwb |
|
2009/10 | dvwRj | 2q el©-21 | 21 | 21 | 100% |
|
|
2008/09 | dvwRj | 3q el©-14 | 14 | 14 | 100% |
|
|
2007/08 | Kvwgj | 55 | 55 |
|
| djvdj cÖKvk nq bvB| |
|
2008/09 | Kvwgj | 2q el©-32 | 32 | 32 | 100% |
| |
2009/10 | Kvwgj | 2q el©-40 | 40 | 40 | 100% |
| |
2010/11 | Kvwgj | 1g el©-40 |
|
|
| cixÿv nqwb |
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস