নিজামকান্দী উচ্চ বিদ্যালয়টি কাশিয়ানী উপজেলার নিজামকান্দী ইউনিয়নের নিজামকান্দী গ্রামের নিভৃত পল্লী এলাকায় অবস্থিত। রামদিয়া থেকে তালতলা হয়ে নিজামকান্দী বাজার সড়কের পাশে। বিদ্যালয়টি নিজামকান্দী বাজার সংলগ্ন। এটি ০৩ (তিন) একর জমির উপর অবস্থিত। একটি পুরানো টিনের ঘর, দুই তলা বিশিষ্ট ও ৬ কক্ষ সম্বলিত একটি ফ্যাসিলিটিস ভবন, নির্মাণাধীন একটি ০৩ কক্ষ বিশিষ্ট ভবন, একটি ছাত্রী কমন রুম, একটি পাকা মসজিদ রয়েছে। এছাড়া এই বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পৃথক পৃথক শৌচাগার রয়েছে। এছাড়া বিদ্যালয়ের সামনে একটি বড় খেলার মাঠ, একটি নার্সারী ও একটি বড় পুকুর রয়েছে।
বৃহত্তম ফরিদপুর অঞ্চলে গান্ধী নামে খ্যাত চন্দ্রনাথ বসু মহাশয়ের একান্ত প্রচেষ্ঠা ও অনুপ্রেরণায় স্বর্গীয় সতীশ চন্দ্র মল্লিক প্রদত্ত টাকা এবং জমি দানের মাধ্যমে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। এছাড়া স্বর্গীয় সত্যরাম মন্ডল, অবিনাশ চন্দ্র বিশ্বাস, সতীশ চন্দ্র বসু আরও নাম না জানা ব্যক্তিবর্গের ভূমি দানের মাধ্যমে বিদ্যালয়টি ১৯৪৬ সালে অধিষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য ০৪ গ্রাম সমন্বয়ে গঠিত নিজামকান্দী ইউনিয়নের আরো অনেক হিন্দু মুসলমান উক্ত বিদ্যালয়ে আর্থিক অনুদান প্রদান করেন। ফলে প্রতিষ্ঠালগ্নে বিদ্যালয়টি, নিজামকান্দী ইউনিয়নের ০৪ (চার) টি গ্রামের (নিজামকান্দী, নিশ্চিন্তপুর, ফলসী ও তালতলা) আদ্যাক্ষর এবং স্বর্গীয় সতীশ চন্দ্র মল্লিক মহাশয়ের মাতার নাম অনুসারে ‘‘এন.এন.এফ.টি সরদা সুন্দরী হাই স্কুল’’ নামকরণ হয়। বিদ্যালয়টি কয়েক বছর চলার পর আর্থিক অনিয়মের কারণে বন্ধ হয়ে যায় এবং স্বীকৃতি বাতিল হয়। পরবর্তীতে ১৯৫৪ সালে নিজামকান্দী নিবাসী উক্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষক শেখ আব্দুস ছাত্তার সাহেব বিদ্যালয়টি পুন: চালু ও স্বীকৃতি অনুমোদনের জন্য দ্বারে দ্বারে অর্থ সংগ্রহ করেন। শেখ আব্দুস ছাত্তার সাহেব এবং ইউনিয়নের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহায়তায় বোর্ডে যোগাযোগ করেন। কিন্তু বোর্ড কর্তৃপক্ষ আর্থিক অভিযোগের কারণে উক্ত ‘‘এন.এন.এফ.টি সরদা সুন্দরী হাই স্কুল’’ নামে স্বীকৃতি দিতে অসম্মতি জ্ঞাপন করেন এবং অন্য নামে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত করার পরামর্শ দেন। ফলে উক্ত ব্যক্তিগণ বিদ্যালয়েল নাম ‘‘নিজামকান্দী উচ্চ বিদ্যালয়’’ নামকরণ করে বোর্ড হতে স্বীকৃতি লাভ করেন। এরপর থেকে অদ্যাবধি বিদ্যালয়টি সুনামের সহিত পরিচালিত হয়ে আসছে।
ক্র.নং | শ্রেণী | বালক | বালিকা | মোট | মন্তব্য |
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ |
১ | ষষ্ঠ | ৬৬ | ৯১ | ১৫৭ |
|
২ | সপ্তম | ৬৫ | ৮৩ | ১৪৮ |
|
৩ | অষ্টম | ৭০ | ৯২ | ১৬২ |
|
৪ | নবম | ৩৫ | ৪০ | ৭৫ |
|
৫ | দশম | ২৬ | ৩৩ | ৫৯ |
|
ম্যানেজিং কমিটি ১৩/০৮/২০১১ থেকে ১২/০৮/২০১৩ তারিখ পর্যন্ত
জনাব শচীন্দ্রনাথ মল্লিক (সভাপতি)
জনাব দুলাল কৃষ্ণ চক্রবর্তী (শিক্ষক প্রতিনিধি)
জনাব সুজিৎ ভৌমিক (শিক্ষক প্রতিনিধি)
জনাব প্রভাতী বিশ্বাস (সংরক্ষিত মহিলা শিক্ষক প্রতিনিধি)
জনাব আঃ ছালাম শেখ (অভিভাবক সদস্য)
জনাব হুসাইন কাজি (অভিভাবক সদস্য)
জনাব ওলিয়ার রহমান শেখ (অভিভাবক সদস্য)
জনাব বৈদ্যনাথ ঘোষ (অভিভাবক সদস্য)
জনাব মনোয়ারা বেগম (সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক সদস্য)
জনাব চিত্তরঞ্জন বসু (প্রতিষ্ঠাতা সদস্য)
জনাব শচীন্দ্রনাথ বিশ্বাস (দাতা সদস্য)
জনাব রওশন আলী ফকির (কো-অপ্ট সদস্য)
প্রধান শিক্ষক (সদস্য সচিব)
ক্র.নং | পরীক্ষার নাম | সাল | পাশের হার (%) | জিপিএ ৫ প্রাপ্তির সংখ্যা |
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ |
১ |
এস.এস.সি | ২০০৭ | ৬৬.৬৭ |
|
২ | ২০০৮ | ৫৮.১৮ | ১ | |
৩ | ২০০৯ | ৭৬.৭৫ | ১ | |
৪ | ২০১০ | ৮৩.০১ | ৩ | |
৫ | ২০১১ | ৮০.০০ | ১ |
২০০৮সনে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় কাশিয়ানী উপজেলায় প্রথম স্থান অধিকার করে অত্র বিদ্যালয় (সোহাগ অফির)।
২০০৯ সালে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় দুই জন বৃত্তি পেয়েছে। ২০১০ সালের এস.এস.সি পরীক্ষার ফলাফলে গোপালগঞ্জ জেলার সেরা ১০এ অত্র বিদ্যালয়ের অবস্থান ছিল ৬ষ্ঠ।
৩১-১২-২০১১ইং তারিখে বিদ্যালয়টির উন্নতি দেখে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ হাতে অত্র বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রঞ্জন কুমার মজুমদারের হাতে ল্যাপটপ (দোয়েল) তুলে দেন।
জে.এস.সি ও এস.এস.সি পরীক্ষায় শতভাগ পাস করানোর প্রচেষ্টা। সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করা, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তথ্য আদান প্রদান করা। শিক্ষার্থীদের নৈতিক মূল্যবোধ সৃষ্টি করা।
কাশিয়ানী উপজেলা থেকে বিশ্বরোড হয়ে গোপালগঞ্জের দিকে যাইতে শরীফপাড়া নামক বাসস্ট্যান্ডে হাতের বামপাশে এবং গোপালগঞ্জ থেকে আসতে একই স্ট্যান্ডের হাতের ডানদিকে পাকা রাস্তা দিয়ে মাইল পাচেঁক এগুলেই ফলসী বাজার । সেখান থেকে উঁচু ব্রিজ পার হয়ে আবার ইটের রাস্তা দিয়ে খানিক দূর অগ্রসর হয়ে চোখে পড়বে আরো একটি ব্রিজ । পার হলেই নিজামকান্দি বাজার এবং তদপরবর্তী নিজামকান্দী উচ্চ বিদ্যালয় স্বমহিমায় দন্ডায়মান। এছাড়া- | ||||||
|
নাম | নাম |
১। নয়ন মিত্র ২। শাহীন মোল্যা ৩। যুথি খানম ৪। খাদিজা খানম ৫। সাকিব হাচান ৬। স্মৃতি রানী | ৭। লিটন সেখ ৮। তাছলিমা খানম ৯। শরিফুল ইসলাম ১০। সুমন বিশ্বাস ১১। সবুজ মোল্যা ১২। চায়না খানম |
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস