রাজপাট কাশিয়ানী প্রধান সড়কের পাশে গ্রামীণ ছায়াঘন পরিবেশে মরহুম সিদ্দিকুর রহমান লেবু মিয়ার নেতৃত্বে ৬৮ গ্রামের লোক ঐক্যবদ্ধ হয়ে শিক্ষার অন্ধকারবদ্ধতা দূর করার জন্য অত্র কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন। ফলাফল ও শিক্ষার গুণগত মানের জন্য ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অত্র কলেজে একটি দ্বিতল ভবন,দুইটি আধা-পাকা ও দুইটি টিনসেড ভবন আছে। এছাড়া দুইটি ছাত্রাবাস, একটি ছাত্রী নিবাস, লাইব্রেরী, বড় খেলার মাঠ ও একটি পুকুর আছে।
গ্রামীন মেঠোপথ। পায়ে হেটে প্রায় আট কিলোমিটার পথ পেড়িয়ে রামদিয়া সরকারী এস.কে কলেজে ক্লাশ করার মানসে প্রতিদিনের মত সেদিনও মেয়ে দুটি পথ চলা শুরু করে। যাবার পথে রাজপাট এসে বৃষ্টিতে ভিজে একটি ঘরে আশ্রয় নেয় দুজনে। ঐ ঘরে বসা ছিলেন অত্র এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি। তাদেঁর মধ্য থেকে একজন মানমানব, শিক্ষানুরাগী,সমাজসেবক,বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব মেয়ে দুইজনকে জিজ্ঞেস করলেন; “মা! তোমারা বই-খাতা নিয়ে কোথায় যাচ্ছ?”একজন ছাত্রী উত্তর দিল’আমরা রামদিয়া সরকারী এস.কে কলেজে পড়ি’। প্রতিদিন বাড়ী থেকেই এভাবে কষ্ট করে হেটে গিয়ে কলেজ করি। আপনারা একটা কলেজ করতে পারেন না? প্রশ্নটি সেই মহামানব,শিক্ষানুরাগী ব্যারিস্টার সিদ্দিকুর রহমান লেবু মিয়ার হৃদয়ে আঘাত করে। সংগে সংগে উপস্থিত সুধীবৃন্দদের বললেন কলেজ করতে হবে,তোমাদের মতামত কী। সকলে একসাথে কলেজ করার সম্মতি প্রকাশ করেন এবং ঐ সময়েই সকলে এসে কলেজের জায়গা নির্ধারন করেন। পরবর্তীতে অত্র বিশাল এলাকার গ্রামবাসীদের ডেকে কলেজ করার সিদ্ধান্তের কথা বলা হয় এবং কলেজের জন্য মাটি কাটার প্রস্তাব উত্থাপন করলে উপস্থিত সকলে কলেজ হবে এ আনন্দে সকলে হাত জাগিয়ে মাটি কেটে দেয়ার সম্মতি জানায় এবং পরের দিন থেকে এক এক গ্রামের মানুষ এক এক দিন এসে বিনা পারিশ্রমিকে মাটি কেটে দেয়। এরপর এলাকার গরীব, বিত্তবান লোকের সার্বিক সহযোগিতায় ঘর তোলার কাজ শেষ হয়। এরমধ্যে সিংহভাগ অর্থ দিয়েছেন ব্যারিস্টার সিদ্দিকুর রহমান লেবু মিয়া। এলাকার ক্ষুদ্র-বৃহৎ একটু আধটু ভালবাসার প্রতিষ্ঠানটি কীনামে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। আপামর জনসাধারণ একবাক্যে প্রস্তাব গ্রহণ করেন উদ্যোগী সেই মহামানব,শিক্ষানুরাগী,দানবীর,সমাজসেবক ব্যারিস্টার সিদ্দিকুর রহমান লেবু মিয়ার নামে কলেজের নামকরণ করা হোক। জনসাধারণের প্রস্তাবকে শিরোধার্য নিয়ে ব্যারিস্টার নিজের নিঃস্বার্থ চেতনার সুগন্ধি উপস্থিতির মধ্যে বিলিয়ে দেন। নিজের অনুপস্থিতিতে গ্রামের মাঝে প্রতিষ্ঠানটির প্রাণবন্ত প্রতিমূর্তি চিরজাগরুক থাকবে এই উদার,বলীয়ান ধ্বনিটি এলাকার সভ্যদের হৃদয়ে তিনি নাড়া দিতে সক্ষম হন। আর তারই ফল হিসেবে ব্যারিস্টার সিদ্দিকুর রহমান লেবু মিয়ার নিজের নামের পরিবর্তে গ্রামের নামে কলেজের নামকরণে তাঁর লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের বিনম্র প্রস্তাবকে সম্মান জানায় এলাকাবাসী। “রাজপাট কলেজ”নামে স্বমহিমায় মাথা উঁচু করে দাঁড়ায় এলাকার ভালবাসার প্রতিমূর্তি। কলেজের পরিচালনা পর্ষদে প্রতিষ্ঠাতার পদে থেকে এই উদারচেতা মানুষটি তাঁর স্বপ্নের প্রতিষ্ঠানকে আরও বৃহদায়তনে রূপ দিতে থাকেন। শিক্ষক নিয়োগ এবং ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হয়। প্রানোচ্ছ্বল পরিবেশে শিক্ষার আলো জ্বালার কাজে নিবেদিত সকলে। কিন্তু বিধি বাম; ২০০৩ সালের ২৯ জানুয়ারী নশ্বর পৃথিবীর সকল ভালবাসা ছিন্ন করে চির বিদায় নেন পথ প্রদর্শক এই মহান পুরুষ। এরপর তাঁরই সহোদর অনুজ ডাঃ প্রফেসর এম.আর আজাদ কলেজের সভাপতি হিসেবে হাল ধরেন। বড় ভাইয়ের এবং এলাকাবাসীর আশা পূরণ করার জন্য ছাত্র-ছাত্রী হোস্টেল নির্মান করেন। উল্লেখ্য যে, তিনি সভাপতি হবার পর থেকে একের পর এক নিজ অর্থ দিয়ে কলেজের বিভিন্ন অভাব পূরণ করেছেন। সর্বশেষ ইচ্ছা ছিল ২০১১ সালের ২৫ মার্চ সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নের মাধ্যমে কলেজের একটি দ্বিতল ভবন উদ্বোধন করবেন। কিন্তু সেই ইচ্ছা আর পূরণ হলোনা তাঁর। ২৫-০৩-২০১১ তারিখ তিনিও চির বিদায় নিলেন। শূণ্যতা পূরণের ধারাবাহিকতায় আবারও তাঁরই এক ভাই জনাব মিজানুর রহমান অত্র কলেজের সভাপতি হিসেবে অধিষ্ঠিত হন। তিনিও কলেজের উন্নয়নের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। প্রতিষ্ঠাতার বড় ছেলেও বাবার ইচ্ছা পূরণে বিভিন্ন সময় আর্থিক সহযোগিতা করছেন। সর্বোপরী এলাকার অকুন্ঠ ভালবাসা ও ত্যাগের বিনিময়ে রাজপাট কলেজ এখন রাজপাট এলাকাবাসীর অহংকারে রূপ নিয়েছে
ক্র.নং | শ্রেণী | বালক | বালিকা | মোট | মন্তব্য |
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ |
১ | একাদশ | ২৩৮ | ১৮৪ | ৪২২ |
|
২ | দ্বাদশ | ২১১ | ১১২ | ৩২৩ |
|
৩ | বি.এ/বি.বি.এস (১ম বর্ষ) | ২৪ | ৩৭ | ৬১ |
|
৪ | বি.এ/বি.বি.এস (২য় বর্ষ) | ২৬ | ২১ | ৪৭ |
|
৫ | বি.এ/বি.বি.এস (৩য় বর্ষ) | ১৬ | ১৪ | ৩০ |
|
৬ | বি.এ/বি.বি.এস (৪র্থ বর্ষ) | ১৬ | ২১ | ৩৭ |
|
| মোট | ৫৩১ | ৩৮৯ | ৯২০ |
|
মেয়াদঃ- ০৫/০৭/২০১২ থেকে ০৫/০৭/২০১৫ ইং পর্যন্ত।
ক্র.নং | পরীক্ষার নাম | সাল | পাশের হার (%) | জিপিএ ৫ প্রাপ্তির সংখ্যা | মন্তব্য |
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ |
১ |
এইচ.এস.সি | ২০০৮ | ৮৮.৬১ | ৩ |
|
২ | ২০০৯ | ৬৬.০০ | - |
| |
৩ | ২০১০ | ৬৯.৭৮ | ৫ |
| |
৪ | ২০১১ | ৭২.৯৬ | ৪ |
| |
৫ | ২০১২ | ৮৯.৯১ | ২ |
| |
৬ |
বি.এ/বি.বি.এস | ২০০৬ | ১০০ | - | উত্তীর্ণ |
৭ | ২০০৭ | ১০০ | - | উত্তীর্ণ | |
৮ | ২০০৮ | ১০০ | - | উত্তীর্ণ | |
৯ | ২০০৯ | ৯০ | - | উত্তীর্ণ | |
১০ | ২০১০ | ৯০ | প্রথম বিভাগ | উত্তীর্ণ |
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভাল ফলাফলের জন্য মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ
স্কাউটিং-এ ১ম স্থান প্রাপ্তি
খেলাধুলায় জেলা ভিত্তিক বিশেষ সাফল্য।
পাশের হার শতভাগ নিশ্চিত করার জন্য পড়ালেখার গুণগত মান আরো বৃদ্ধি করা,
বিভিন্ন বিষয়ের উপর অনার্স ও মাস্টার্স কোর্স চালূ করা,
খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড আরও বৃদ্ধি করা,
বিভিন্ন জাতীয় প্রতিযোগিতামূলক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণের জন্য সুদক্ষ দল গঠন করা ও তথ্য প্রযুক্তি শিক্ষা সম্প্রসারণ করা।
মংলা-ঢাকা মহাসড়কের কাশিয়ানী উপজেলা পরিষদ থেকে গোপালগঞ্জমুখী তিলছড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে হাতের বামদিকে মাইল পাঁচেক সামনে এগুলেই চোখে পড়বে শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের তীর্থধাম। সেখান থেকে পাকা রাস্তা ধরে আর মাত্র দুই কিলোমিটার পথ সামনে এগুলেই রাজপাট চৌরাস্তা । সম্মুখ বরাবর ব্রিজ পার হয়ে সামনে মিনিট খানেক এগুলেই হাতের ডানদিকে সুদৃশ্য তোরণ চোখে পড়বে। দুপাশের অতন্দ্রপ্রহরারত বৃক্ষরাজির শীতল ছায়াঘেরা ছোট্ট পথ দিয়ে হাতের বামপাশে ব্রিজের ওপারেই অবস্থিত এই বিদ্যালয়এছাড়া যোগাযোগের ক্ষেত্রে | ||||||
|
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস