গোপালগঞ্জ জেলার অন্তর্গত কাশিয়ানী উপজেলাধীন মনোরম পল্লীর নিভৃত পরিবেশে স্কুলটি অবস্থিত। ভৌত অবকাঠামোসহ শিক্ষার্থী, শিক্ষক ওপাঠদানের সুন্দর পরিবেশ বেষ্টিত অবস্থায় উত্তরোত্তর সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বিদ্যালয়টি। বিদ্যালয়ে সহশিক্ষা চালু রয়েছে।শৌচাগার, খেলার মাঠ, লাইব্রেরীসহ সমস্ত প্রকার সুবিধাদির মাধ্যমে বিদ্যালয়টিতে নিয়মিতভাবে পাঠদান করা হয়।
১৯৪৫ সাল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি হয়েছে।সমগ্র ভারত জুড়ে স্বাধীনতার আন্দোলন। তার ছোয়া এসে পড়ছে গ্রাম বাংলার অজ পাড়াগায়ে/বিল ঝিল ওসবুজ বনানী বেষ্টিত এই মাজড়া। স্থানীয় জমিদার বাবু বিহারী লাল মুখোপাধ্যায়। স্থানীয় অনেক উঠতি পরিবারের মিলিত হিন্দু মুসলমান শিক্ষার প্রয়োজন অনুভব করে জমিদারের দ্বারস্থ হলেন।সদাসয় জমিদার বাবু মাজড়াতে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার জন্য সবরকম সাহায্য সহানুভূতি ও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।প্রতিষ্ঠিত হল মাজড়া বাগঝাপা B.L.হাই স্কুল।সুন্দর পরিবেশে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলতে থাকে।১৯৪৭ সাল এ দেশ পূর্ব পাকিস্তানের অন্তর্গত হয়।জমিদার বাবু সপরিবারে ভারতে পাড়ি জমালেন।পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে বিদ্যালয়টি বড় বিপাকে পড়ে যায়। যে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী লেখা পড়ায় যেমন কৃতিত্ব অর্জন করে খেলাধুলা ও পারিপার্শ্বিক কার্যক্রমেও তাদের দক্ষতা প্রশংসনীয় অথচ অভিভাবকহীন অবস্থায় বিদ্যালয়টি চরম সংকটে পড়ে যায়।বহু পূর্বকাল থেকেই এই এলাকার মানুষ শিক্ষানুরাগী বিদ্যালয়ের এই জীর্ণদশা থেকে মাথা উচিয়ে দাড় করানোর জন্য স্থানীয় জনাব জহুরুল হক খান, আঃ রশিদ মুন্সী, আঃ ভালেম মিয়া, বাবু প্রমথ ঘোষ, নুরুদ্দিন মোল্যা, সামাদ খান, বাবু মিয়া, সাজন খাকী এক যোগে স্থানীয় ধন্যাঢ্য ব্যবসায়ী জনাব মরহুম মোক্তার আহমেদের স্মরণাপন্ন হলে ১৯৬৮ সালে বিদ্যালয়টি তার হৃত গৌরব ফিরে পায়।বিদ্যালয়ের নূতন নামকরণ করা হয় আলহাজ্ব এ.জি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। দুই বছরের মধ্যে বিদ্যালয়টি স্বীকৃতি পায়।তখন বিদ্যালয়ের হাল ধরেন স্বর্গীয় বাবু অনুকূল চন্দ্র সাহা।বহু চড়াই-উৎরাই পার হয়ে বিদ্যালয়টি আজ সগৌরবে মাথা তুলে দাড়িয়েছে।পাশ্ববর্তী বিদ্যালয়গুলির সাথে প্রতিযোগিতা যেমন লেখাপড়ায় তেমনি খেলাধুলা,কৃষ্টি,কালচারেও বিদ্যালয়টি শীর্ষে অবস্থান করছে।এই বিদ্যালয়ে প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে অনেক ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার,ডিসি,সচিব,জজসহ সরকারের বিভিন্ন পদে নিয়োজিত থেকে দেশের সেবা করে আসছে।প্রতিবছর এই স্কুল থেকে এস.এস.সি-তে জিপিএ-৫ পেয়ে ও জেএসসি-তে A+পেয়ে বিদ্যালয়কে সমুন্নত রেখেছে।বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৫০০ এর অধিক।বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক জনাব অলিয়ার রহমান তার সুদক্ষ পরিচালনার মাধ্যমে বিদ্যালয়কে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন।
শ্রেণী | বালক | বালিকা | মোট |
২ | ৩ | ৪ | ৫ |
ষষ্ঠ | ৭৫ | ৭৮ | ১৫৩ |
সপ্তম | ৫৬ | ৬৯ | ১২২ |
অষ্টম | ৬০ | ৬৯ | ১২৯ |
নবম | ২২ | ৩৮ | ৬০ |
দশম | ৩০ | ৩০ | ৬০ |
কমিটির ধরন | কমিটির মেয়াদকাল | সদস্য সংখ্যা | মন্তব্য | |
হইতে | পর্যন্ত | |||
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ |
ম্যানেজিং কমিটি |
|
| ১১ |
|
ক্র.নং | পরীক্ষার নাম | সাল | পাশের হার (%) | জিপিএ ৫ প্রাপ্তির সংখ্যা | মন্তব্য |
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ |
১ |
এস.এস.সি | ২০০৭ | ২৯ |
|
|
২ | ২০০৮ | ৪৮ |
|
| |
৩ | ২০০৯ | ৫৭ |
|
| |
৪ | ২০১০ | ৬৩ |
|
| |
৫ | ২০১১ | ৮১ |
|
|
মোট ১৬২ জন শিক্ষার্থী উপবৃত্তি পেয়ে থাকে
অত্র বিদ্যালয়ের লেখা-পড়া করা অনেক শিক্ষার্থী পরবর্তীতে সেনা, নৌ, বিমান,পুলিশ অফিসার, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারসহ সরকারী বেসরকারী, স্বায়ত্তশাসিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকুরী লাভ করে।এস.এস.সি পরীক্ষায় বিগত ৪ বছর ধরে প্রতি বছর জি.পি.এ-৫ পেয়ে আসছে। ২০১১ সালের জে.এস.সি পরীক্ষায় ২ জন শিক্ষার্থী জি.পি.এ-৫ পেয়েছে যা কাশিয়ানী উপজেলার মধ্যে একই বিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক জি.পি.এ-৫ পাওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করে।খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে অত্র বিদ্যালয়ের সুনাম রয়েছে।স্কুলে বিভিন্ন সময় খেলাধুলায় উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে কৃতিত্ব অজর্ন করেছে।
ক) শতভাগ পাশের হার নিশ্চিত করা
খ) বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার বৃদ্ধি করা
গ) ঝরে পড়ার হার হ্রাস করা
ঘ) প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা
গোপালগঞ্জ-কাশিয়ানী-ব্যাসপুর রোডের কাশিয়ানী উপজেলা ছাড়িয়ে বেলতলা বাজার থেকে ডানদিকের রোডে ৪ কিলোমিটার পূবদিক এগোলে পাকা রাস্তার লাগোয়া বামপাশে চোখে পড়বে এই বিদ্যালয়টি।এছাড়া গোপালগঞ্জ-ঢাকা বিশ্বরোডের মাজড়া নামক স্থান থেকে পশ্চিম দিকে প্রতিষ্ঠানটির সাথে ভাল যোগাযোগ রয়েছে।এছাড়া
আলহাজ্ব এ.জি মাধ্যমিক বিদ্যালয়
ডাকঘর-মাজড়া, উপজেলা-কাশিয়ানী, জেলা- গোপালগঞ্জ।
ই-মেইল ঠিকানা : alhajaghighschool45@yahoo.com
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস