অত্র বিদ্যালয়টি গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানাধীন মাহমুদপুর ইউনিয়নের দীঘরগাতী গ্রামে অবস্থিত। ইহা কাশিয়ানী উপজেলা হতে ১৬ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত।
বিদ্যালয়টির সামনে একটি বিশাল খেলার মাঠ আছে। ছাত্র/ছাত্রীরা সহ গ্রামের কোমলমতি শিশুরা উক্ত মাঠে খেলাধুলা করে মানসিক প্রশান্তি লাভ করে। বিদ্যালয় ভবনের সামনে সারি সারি মেহগনি গাছ সহ বিভিন্ন গাছ রোপন করে শোভা বর্ধন করেছেন সহ শিক্ষক বাবু অশোক কুমার দাস। শিক্ষকের আন্তরিকতা ও সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ বাস্তবায়ন করে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সকলেই কাজ করে যাচ্ছে। বিদ্যালয়ের মোট ২ একর ৬১ শতাংশ জমি আছে।বিদ্যালয়টি ২৫ শতাংশ জমির উপরে গঠিত।
এককালে দীঘরগাতী গ্রামটি ছিল শষ্যশ্যামলা সুজলা সুফলা কিন্তু অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা জীবনমাত্রার নিম্নমান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভাবে এ এলাকার শিক্ষার হার ছিল খুবই নিম্ন। অনুন্নত এলাকাকে উন্নত করতে হলে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই - এ কথা চিন্তা করে গ্রামের বিশিষ্ট সমাজ সেবক বাবু মতিলাল বিশ্বাস গ্রামে বিদ্যালয় স্থাপন করার উদ্যোগ নিলেন। কিন্তু তার কাছে পর্যাপ্ত অর্থ ছিল না সে জন্য গ্রামের সনাতন শাঁখারী ,রামকৃষ্ণ বিশ্বাস এবং ধোপড়া নিবাসী ভজন সরকারের সহযোগীতায় ১৯৪৭ সালে বিদ্যালয়টি স্থাপন করে এলাকার জন সাধারনকে কৃতার্থ করেন। অত্র বিদ্যালয়ের অনেক স্বনামধন্য প্রধানশিক্ষকগণ শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। যাদের মধ্যে রয়েছেন বাবু ভবানী শংকর বিশ্বাস,দেবেন্দ্র নাথ দাস বাবু উপেন্দ্র নাথ গাইন, বাবু হরপ্রসাদ সরকার প্রমুখ ব্যাক্তিবর্গ। তন্মধ্যে বাবু ভবানী শংকর বিশ্বাস মহোদয় পাকিস্থানী আমলে স্বাস্থ্য মন্ত্রী ছিলেন। যার বদান্যতায় বিদ্যালয়টি আজ ও সুনামের সহিত পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করে এলাকা নিরক্ষর মুক্ত সচেতন সমাজে পরিনিত করেছে। বর্তমানে কর্মরত প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক/কর্মচারীদের আন্তরিক প্রচেষ্ঠায় বিদ্যালয়টির পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল উত্তোরোত্তর বৃদ্ধি পেয়ে দেশকে নিরক্ষরতা মুক্ত করতে বিদ্যালয়টি সহায়ক ভুমিকা পালন করছে।
শ্রেণী | বালক | বালিকা | মোট |
২ | ৩ | ৪ | ৫ |
ষষ্ঠ |
|
| ৫০ |
সপ্তম |
|
| ৫৪ |
অষ্টম |
|
| ৫৩ |
নবম |
|
| ৪৮ |
দশম |
|
| ৪০ |
১। | জনাব মেঘনাদ শাঁখারী | সভাপতি |
২। | জনাব সুভাষ চন্দ্র রায় | শিক্ষক প্রতিনিধি |
৩। | জনাব নিখিল চন্দ্র ভক্ত | ঐ |
৪। | মিসেস মায়া রানী টিকাদার | ঐ |
৫। | জনাব মনীন্দ্রনাথ সরকার | ঐ |
৬। | জনাব রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস | অভিভাবক সদস্য |
৭। | জনাব স্বপন দাস | ঐ |
৮। | জনাব বিকাশ বিশ্বাস | ঐ |
৯। | মিসেস স্নেহলতা বিশ্বাস | ঐ |
১০। | জনাব আদিত্য কুমার বিশ্বাস | বিদ্যোৎসাহী সদস্য |
১১। | জনাব সঞ্জিত কুমার শাঁখারী | সদস্য সচিব |
ক্র.নং | পরীক্ষার নাম | সাল | পাশের হার (%) | জিপিএ ৫ প্রাপ্তির সংখ্যা | মন্তব্য |
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ |
১ |
জে.এস.সি | ২০১০ | ৭১ |
|
|
২ | ২০১১ | ৭৩ |
|
| |
৩ |
এস.এস.সি | ২০০৭ | ৩৪.৪৮ |
|
|
৪ | ২০০৮ | ৮২.৬১ |
|
| |
৫ | ২০০৯ | ৩০ |
|
| |
৬ | ২০১০ | ৭৯ |
|
| |
৭ | ২০১১ | ৮৮ |
|
|
বিগত ২০১১ সালে সিকায়েফ প্রদত্ত বৃত্তির পরিমান ৩০% উপবৃত্তির আওতায় সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে। এছাড়া বিদ্যালয় কর্তৃক প্রতিবছর শতকরা ৫০-৬০ ভাগ ছাত্র/ ছাত্রীদের বিনা বেতনে লেখাপড়ার সুযোগ দিয়া থাকে।
v বিদ্যালয়ের পাশ্ববর্তী এলাকায় প্রতি ঘরে ঘরে (এস.এস.সি পাস সহ) শিক্ষার হার বৃদ্ধিও পেয়েছে।
v নারী শিক্ষার হার বৃদ্ধি পেয়েছে।
v দরিদ্র পরিবারের সন্তানেরা কম খরচে শিক্ষার সুযোগ পেয়ে এস.এস.সি পাসের পর কর্মসংস্থান ও উচ্চ শিক্ষা লাভের সুযোগ পাচ্ছে।
v প্রাক্তন ছাত্র/ছাত্রীরা ইঞ্জিয়ার এ্যাডভোকেট সহ অন্যান্য সরকারী উচ্চপদস্থ কর্মচারী/কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছে।
v এলাকাবাসীর জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পাচ্ছে।
v নৈতিক মূল্যবোধ বৃদ্ধি পাচেছ।
v সুন্দরমূখী সমাজ গড়ে উঠছে।
সার্বিক ভাবে আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক আগামী ৫ বৎসরের মধ্যে (পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা) শিক্ষক , ম্যানেজিং কমিটি ,পি টি এ কমিটি ও স্থানীয় ব্যক্তিদের সহযোগিতায় যা করতে চান তা হলো
Ø জে.এস.সি ও এস.এস.সি পরীক্ষায় ১০০% শিক্ষার্থীর পাশের নিশ্চয়তা বিধান।
Ø যুগোপযোগী শিক্ষাদানের ব্যবস্থা।
Ø কম্পিউটার ল্যাব করা।
Ø বিশাল গ্রন্থাগার গড়ে তোলা।
Ø শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার মতো উপযোগী করে গড়ে তোলা।
Ø এলাকার একটি সন্তান যাতে ৫ ম শ্রেণী পাস করার পর ঝরে না পড়ে তার জন্য লেখাপড়ার সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া।
সার্বিক ভাবে বিদ্যালয়টিকে সুসজ্জিত ও শিক্ষা গ্রহনের জন্য সুন্দর পবিবেশ সৃষ্টি করাই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা।
কাশিয়ানী উপজেলা পরিষদ থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বিশ্বরোড পার হয়ে সাজাইল-পারুলিয়া-রাজপাট-রাহুথড় রোড দিয়ে ১০ কিলোমিটার পূর্ব দিকে অগ্রসর হলে সাজাইল বাজার পার হয়ে রোডের বামমোড় দিয়ে পারুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আরো পূব দিকে এগিয়ে কুমারিয়া বাজার। বাজার থেকে কুমার নদীর উপর নির্মিত ব্রীজ পার হয়ে সোজা পূর্বদিকে এক কিলোমিটার পথ এগুলেই কাঙ্খিত এই সুদৃশ্য এবং এতিহ্যবাহী বিদ্যালয়টি স্বমহিমায় দন্ডায়মান। এছাড়া যোগাযোগঃ | ||||||
|
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস